মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে খাবার আয়োজনের হুকুম

আহনাফ বিন কায়স বলেন, যখন হযরত ওমর রা. আঘাত প্রাপ্ত হন সুহাইব বিন সিনানকে (রা.) আদেশ করেন ৩দিন মুসলমানদের নিয়ে নামাজ আদায় করার জন্য এবং মানুষদের জন্য খাদ্য প্রস্তুতের করার। হাফেজ ইবনে হাজার তাঁর আল মাতালিবুল আলিয়া (১/১৯৯) তে উল্লেখ করে বলেছেন এর সনদ হাসান।

প্রখ্যাত তাবেয়ী হযরত ত্বউস আল ইয়ামানী রা. বলেন, নিশ্চয়ই মৃত ব্যক্তিরা কবরের ফিতনায় থাকে ৭দিন। উক্ত দিনগুলোতে তাঁদের পক্ষ হতে খাদ্য খাওয়াতে তাঁরা পছন্দ করে। আল মাতালিবুল আলিয়া ১/১৯৯ এবং বলেছেন সনদটি শক্তিশালী।

আবদুল্লাহ্ ইবনু জাফর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, জাফর (রাঃ)-এর শহীদ হওয়ার খবর এলে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমরা জাফরের পরিবারের জন্য খাবার তৈরী কর। কেননা, এমন খবর তাদের নিকটে এসেছে যা তাদেরকে ব্যতিব্যস্ত রেখেছে। জামে’ আত-তিরমিজি, হাদিস নং ৯৯৮, আবু দাউদ ৩১৩২, ইবনু মা-জাহ ১৬১০, মিশকাত ১৭৩৯, দারা কুতনী ২/৭৯,

মৃত ব্যক্তির পরিবারের দুঃখ-কষ্ট জনিত ব্যস্ততার কারণে তাদেরকে কিছু পাঠানোকে একদল আলিম মুস্তাহাব বলেছেন। এই অভিমত ইমাম শাফিঈর। মৃতের পরিবারের খাদ্য তৈরি করা জায়েয তবে উত্তম হলো প্রতিবেশী অথবা মৃতের পরিবারের বাহিরের লোকদের দ্বারা তৈরি করা। খরচাদি মৃতের পরিবার থেকে গ্রহণ করাতে কোন অসুবিধা বা ক্ষতি নেই। আল মাউসুয়াতুল ইউসুফিয়া ৬২১ পৃষ্ঠা।

মাওলানা মোহাম্মদ মাছুম বিল্লাহ বাশারী, ইমাম ও খতিব – উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, ব্রাহ্মণপাড়া, কুমিল্লা।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top