আজান ও ইকামাতের ক্ষেত্রে পবিত্রতা অর্জন করা মুস্তাহাব। এ বিষয়ে হাদীস শরীফে বর্ণিত হয়েছে ‘বিনা অজুতে কেউ যেন আযান না দেয়’। তিরমিজি ২০০।
আজান এবং একামত জিকিরের অন্তর্ভুক্ত। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন ‘পবিত্রতা ছাড়া আল্লাহর নাম স্মরণ করা আমি অপছন্দ করি’। আবু দাউদ ১৭। ইমাম ইবনে কুদামা হাম্বলি তাঁর মুগনি কিতাবে বলেন, মোয়াজ্জিনের জন্য মুস্তাহাব হলো হদসে আসগর ও জানাবাত সহ সকল অপবিত্রতা থেকে পবিত্র হওয়া। ইমাম নববী তাঁর মাজমুয়ার ৩/১১৩ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেছেন, পবিত্র অবস্থায় আযান দেয়া মুস্তাহাব যদি অজুবিহীন অথবা জুনুবি অবস্থায় আজান দেয় আযান সহিহ হবে তবে মাকরুহ হবে। জুনুবি লোকের আযান মাকরুহ এর সহিত আদায় হবে এ সম্পর্কে হাসান বসরী, কাতাদা, হাম্মাদ, আবু হানিফা, সুফিয়ান সাওরী এবং ইবনুল মুন্জির (রা) ফতোয়া দিয়েছেন। আর আজান ইকামত সঠিক হবে না যারা বলেছেন তারা হলেন- মুজাহিদ, আউজায়ী ও ইসহাক (রা).।
মাজমায়িল আনহার ফি শারহি মুলতাকা আল আবহার ১/১১৭ পৃষ্ঠায় আছে – আযান এবং ইকামত দিবে পবিত্র অবস্থায়। এটা জিকির তাই এতে পবিত্রতা অর্জন মুস্তাহাব করা হয়েছে কোরআন পাঠের মত। যেমন আল এখতিয়ার কিতাবে উল্লেখ আছে। আর এখানে অপবিত্রতা বলতে ছোট বড় সকল নাপাকের অপবিত্রতা থেকে মুক্ত হওয়া উদ্দেশ্য। অপবিত্র ব্যক্তির আজান দেয়া জায়েজ কেননা তাতে উদ্দেশ্য অর্জন হয়। আজান শুদ্ধ হওয়ার ব্যাপারে মাকরুহ হবে না তবে মাকরুহ এজন্য সে যে আমলের দিকে ডাকছে সে ডাকে অপবিত্রতার জন্য নিজেই সাড়া দিতে পারছে না। এটা আল্লাহতালার ওই কথার শামিল- “তোমরা কি মানুষকে সৎকর্মের আদেশ দাও এবং নিজেরা নিজেদেরকে ভুলে যাও”। সুরা বাকারা ৪৪। তবে সর্বদা অজুবিহীন আজান দেয়া অভ্যাসে পরিগণিত হলে গুনাহগার হবে। ওয়াল্লাহু আলাম।
মো: মাছুম বিল্লাহ বাশারী। ইমাম ও খতিব – উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, ব্রাহ্মণপাড়া, কুমিল্লা।